হতাশার গল্প

 হতাশার গল্প-মিনহাজ মিজান

সালটা ২০০১ আমবস্যার রাত সিনেমা হলের রাতের শো ৯.০০ থেকে ১২.০০। জীবনে প্রথমবার এমন করে সিনেমা হলের রূপালি পর্দায় সিনেমা দেখলাম। দুঃখের বিষয় সিনেমার নামটা মনে করতে পারছি না।
বাপ্পারাজ আর নায়করাজ রাজ্জাকের সিনেমা ছিলো এটা মনে আছে। সিনেমা হল থেকে বের হয়ে কোনো যানবাহন পেলাম না। আর হ্যাঁ আজকের মত তখন উলিপুর এমন ছিলো না।
পরিশেষে ভাবলাম এতদূর ঘুরে নানাবাড়ি যেতে পারবো না। বেটার আমরা তিনজন এই শশ্মানের পাড় বা গুলুবদা দিয়েই যাই।
যেই ভাবা সেই মত কাজ। হাটতে থাকলাম আমরা, শশ্মানের কাছে যাবার আগেই মনে হলো একটা গরম বাতাস ঘাড়ের কাছ দিয়ে চলে গেলো। কিছুটা ভয় পেয়েছিলাম বৈকি। তারপর শশ্মানের কাছে যেতেই একটা অদ্ভুত সাউন্ড।


হতাশার গল্প
হতাশার গল্প



কিন্তু তারপর সব স্বাভাবিক।আমরা পৌছে গেলাম আমাদের গন্তব্যে। কিন্তু বিপত্তিটা বাঁধল পরের দিন সকালে আমাদের তিনজনের মাঝে একজনের ভয়ানক জ্বর। মনে আছে ওর তিনদিন জ্বর ছিলো আর হ্যাঁ আমরা কিন্তু পরেরদিন অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি হলেও স্বীকার করিনি সত্যিটা কি।
তখন থেকেই আমার আমাবস্যা বা ভূতেদের প্রতি একটা অদ্ভুত আগ্রহ জন্ম নেয়। এখনো আমবস্যা আসলেই বেরিয়ে পড়ি সত্যান্বেষিদের মত ভূত অন্বেষনে আজও তার ব্যাতিক্রম ছিলো না৷ ভূতান্বেষি বললে ভুল হবে না 😁😆এখন রাত ৪.৩৮ মিনিট, রাত বললে ভুল হবে ভোর বলাটাই শ্রেয়। আরো একটা পূর্ণ আমাবস্যার রাত বৃথা গেলো। ভূত দেখিবার আশায় সারা রাত পার করলাম। ভরা আমাবস্যায় পুকুরের মাঝে বসে থাকলাম,নির্জন রাস্তায় হাঁটলাম অথচ ভূত তো দূরের কথা একটা পেত্নীরেও দেখলাম না।
অথচ শুনেছিলাম শনিবারের আমাবস্যা নাকি খুবই ভয়ানক। ভাবছিলাম হয়ত কিছু সাউন্ড পাওয়া যেত ভৌতিক ছবির সাউন্ড ইফেক্টের মত। কিন্তু হতাশা ছাড়া কিছুই জুটল না।ওহ্ হ্যাঁ বলতে ভুলে গিয়েছিলাম স্টেশন রোডে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভৌতিক অফিসের সামনে দুটো কুকুর আর একটা বিড়াল কে দেখেছিলাম মাত্র। পরিশেষে আজ আমি টোটালি হতাশ।।
আরো একটা রাত চলে গেলো আরো একটা বছর অথচ আমার ভূত দেখা হলো না। ভোলা ভাইয়ের ঘটনা মনে পড়লো যাক আরেকদিন না হয় সেই অভিজ্ঞতার কথা বলা যাবে বলা যাবে জ্বীন ও তুলা রাশির গল্প। আজ এখানেই শেষ করছি ৩ ঘন্টা ঘুমাই অফিস তো করতে হবে 😁😆🤪।।

Post a Comment

0 Comments